Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর ১৪২৮

প্রশ্নোত্তর
কৃষিবিদ মো. তৌফিক আরেফীন
­­­­­কৃষি বিষয়ক
নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য আপনার ফসলের ক্ষতিকারক পোকা ও রোগ দমনে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করুন।
মোঃ জুবায়ের হোসেন, গ্রাম: কালিগঞ্জ, উপজেলা: জলঢাকা, জেলা: নীলফামারী
প্রশ্ন: ভুট্টা গাছের মোচা এক ধরনের পোকা ছিদ্র করে ফেলে। এতে ভুট্টার বেশ ক্ষতি হয়। কী করণীয় ?
উত্তর:  আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য জমি ভালোভাবে চাষ করতে হবে এবং চাষকৃত জমি হতে পোকার পিউপা সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হবে।   মোচা ছিদ্রকারী পোকার লার্ভাগুলো সাধারণত মোচার উপরের দিকে অবস্থান করে। এজন্য আক্রান্ত মোচা থেকে লার্ভা সংগ্রহ করে সেগুলো নষ্ট করে ফেলতে হবে। আক্রমণের শুরুতে জৈব বালাইনাশক এইচএনপিভি (ঐঘচঠ) প্রতি লিটার পানিতে ০.২ গ্রাম হারে প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়। আর পোকার আক্রমণ যদি বেশি হয় তবে ট্রেসার ৪৫ এসসি ০.৪ মিলি বা সাকসেস ২.৫ এসসি ১.৩ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন। এছাড়া ভলিয়ামফ্লাক্সি ৩০০ এসসি ০.৫ মিলি প্রতি লিটার পানিতে অথবা এবামেকটিন বেনজোয়েট গ্রæপের যেমন প্রোক্লেম ৫ এসজি, সাহাম৫ এসজি, হেক্লেম৫ এসজি বা অন্য নামের ১ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে সুফল পাবেন।
মোঃ আক্কাছ আলী, গ্রাম: নিন্দুয়ার, উপজেলা: বালিয়াডাঙ্গী, জেলা: ঠাকুরগাঁও
প্রশ্ন: পুদিনা পাতার নিচে ছোট ময়লাযুক্ত এবং বাদামি ফোস্কার মত দাগ দেখা যায় । এ সমস্যা রোধে কী করণীয়?
উত্তর:  পুদিনা পাতার এ রোগটিকে পুদিনা পাতার রাস্ট রোগ বলে। এ রোগ প্রতিরোধে ফসলের পরিত্যক্ত অংশ, আগাছা এবং আবর্জনা পুড়ে ফেলতে হবে। এছাড়া জমিতে পর্যাপ্ত সূর্যালোক ও বাতাসের ব্যবস্থা করাও দরকার। পাশাপাশি জমিতে শস্য পর্যায় অবলম্বন করতে হয়। যদি পুদিনা গাছে রাস্ট রোগ দেখা দেয় তবে হেক্সাকোনাজল গ্রæপের ছত্রাকনাশক যেমন-কনটাফ ৫ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি অথবা প্রোপিকোনাজোল গ্রæপের ছত্রাকনাশক  যেমন-টিল্ট ২৫০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭ থেকে ১০ দিন পর পর ২ থেকে ৩ বার গাছে ¯েপ্র করতে হবে। আশাকরি উপকার পাবেন।
জাহাঙ্গীর আলম গ্রাম: খালিশপুর, উপজেলা:  পাবনা সদর, জেলা: পাবনা
প্রশ্ন  ঢেঁড়সের গোড়া ও কাÐ পচা রোগের প্রতিকার কী ?
উত্তর: এ রোগটি ম্যাক্রোফোমিনা ফেসিওলিনা  ছত্রাকের আক্রমণে হয়ে থাকে। এ রোগ প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধী জাত যেমন-বারি ঢেঁড়স ১ চাষ করতে হবে। আর যদি কোনো কারণে এ ধরনের রোগ দেখা দেয় তবে মেনকোজেব গ্রæপের  ছত্রাকনাশক যেমন-ডাইথেন এম ৪৫ প্রতি লিটার পানিতে  ২ গ্রাম হারে অথবা কপার অক্্িরক্লোরাইড গ্রæপের ছত্রাকনাশক  যেমন-সানভিট ৫০ ডবিøউপি প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। এসব ব্যবস্থা নিলে আপনি উপকার পাবেন।
মো. আলমগীর কবির, গ্রাম: নকিপুর, উপজেলা: শ্যামনগর, জেলা: সাতক্ষীরা
প্রশ্ন:  পাট গাছের কাÐ পচা রোধে কী করবো ?  
উত্তর:  পাট গাছের কাÐ পচা রোগ প্রতিরোধে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয় সেগুলো হলো-আক্রান্ত গাছ দেখামাত্র তুলে ফেলা । সুস্থ ও রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা। সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার এবং রোগের আক্রমণ বেশি হলে মেনকোজেব গ্রæপের যে কোন ছত্রাকনাশক ২.৫ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে সঠিক নিয়মে স্প্রে করা। এসব ব্যবস্থা নিলে পাট গাছের কাÐ পচা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মোঃ আকবর হোসেন, গ্রাম: পাটগা মুন্সিপাড়া, উপজেলা: রাণীশংকৈল, জেলা: ঠাকুরগাঁও
প্রশ্ন:  করলার পাতাগুলো গুচ্ছাকার হয়ে যায়।  কী করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ?
উত্তরঃ করলার এ সমস্যা মাইকোপ্লাজমার কারণে হয়ে থাকে। আর এ রোগটি বাহক পোকার মাধ্যমে ঘটে থাকে। সেজন্য বাহক পোকা ধ্বংস করার জন্য       বালাইনাশক এসাটাফ কিংবা ইমিডাক্লোরপ্রিড গ্রæপের টিডো বা  এডমায়ার সঠিক নিয়মে স্প্রে করলে আপনি উপকার পাবেন। এসবের পাশাপাশি আক্রান্ত গাছ দেখামাত্র তুলে ফেলে নষ্ট করা দরকার। আর সবসময় রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা প্রয়োজন। আর কোনভাবেই ক্ষেতের আশেপাশে আগাছা রাখা যাবে না। এসব সতর্কতা মেনে চললে আপনি উপকার পাবেন।
আরিফুল ইসলাম, গ্রাম: জাতুকর্ণপাড়া, উপজেলা: বানিয়াচং, জেলা: হবিগঞ্জ
প্রশ্ন:  শিমে সাদা তুলার মতো কি যেন পরে। এতে ফসলের ক্ষতি হয়। কী করণীয় জানাবেন।  
উত্তর:  আপনার শিম গাছে ছত্রাকের আক্রমণের ফলে প্রাথমিক অবস্থায় কাÐে পানি ভেজা সাদা তুলার মত ছত্রাকের উপস্থিতি দেখা যায়। এটি পাতা, ফুল ও ফলে বিস্তার লাভ করে। এ সমস্যা সমাধানে রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। বপনের পূর্বে প্রতি কেজি বীজ  ২.৫ গ্রাম প্রভেক্স দিয়ে শোধন করে জমিতে বপন করতে হবে। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে রোভরাল ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে সঠিক নিয়মে স্প্রে করতে হবে। এছাড়া আপনি ফলিকুর বা কন্টাফ ২ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে সঠিক নিয়মে স্প্রে করলেও উপকার পাবেন।
মৎস্য বিষয়ক
মোঃ হাবিবুর রহমান, গ্রাম: নারায়ণপুর, উপজেলা:  কেশবপুর, জেলা: যশোর
প্রশ্ন: মাছের শরীরে সাদা ফুটকি রোগ দেখা যাচ্ছে কী করবো?
উত্তর:  এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। এ রোগে মাছের মাথা, পৃষ্ঠদেশ ও  পাখনায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোলাকার সাদা দাগ বা ফুটকি দেখা যায়। মাছের দেহে অতিরিক্ত পিচ্ছিল পদার্থ জমা হয়। মাছ অলসভাবে চলাফেরা করে ও খাদ্য গ্রহণ করে না। বেশি আক্রান্ত মাছ দ্রæত মারা যায়। এজন্য পুকুর প্রস্তুতির সময়     পরিমিতি পরিমাণ চুন প্রয়োগ করতে হবে। নিরাময় পুকুরের প্রতি শতাংশে ১ মিটার গভীরতার জন্য ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম পটাশিয়াম প্যারম্যাঙ্গানেট বা পটাশ পানিতে গুলে নিয়ে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। এছাড়া আক্রান্ত মাছকে ২ থেকে ৩% লবণ পানিতে ৩০ মিনিট বা ৫% অ্যামোনিয়াম সালফেট দ্রবনে ১ মিনিট ডুবিয়ে রেখে পুকুরে ছেড়ে দিতে হবে। এসব ব্যবস্থা নিলে আপনি উপকার পাবেন।   
মোঃ  আশরাফুল ইসলাম, গ্রাম: সাকোয়া, উপজেলা:  বোদা, জেলা:  পঞ্চগড়
প্রশ্ন: মাছের ফুলকা পচা রোগ হয়েছে কী করবো ?
উত্তর: এক শ্রেণীর ছত্রাক মাছের ফুলকার মধ্যে ঢুকে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে ফুলকার বাহিরের অংশে খাদ্য ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এটি ছত্রাক সংক্রমণে সৃষ্ট একটি রোগ। এ রোগে ফুলকায় পচন ধরে এবং আস্তে আস্তে খমে পড়ে। এ রোগে আক্রান্ত মাছ সাধারণত বাঁচে না। প্রাথমিক অবস্থায় ১ লিটার পানিতে ৫ মিলিগ্রাম তুতে মিশিয়ে আক্রান্ত মাছকে ৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে পুকুরে ছেড়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়া পুকুরে অতিরিক্ত জৈব পদার্থ জমতে দেয়া যাবে না এবং পূর্বাহ্ণে পরিমিত মাত্রায় চুর প্রয়োগ করতে হবে।     
প্রাণিসম্পদ বিষয়ক
মোঃ জহিরুল ইসলাম, গ্রাম: চালাকচর, উপজেলা: মনোহরদী, জেলা: নরসিংদী
প্রশ্ন: আমার বাছুরের বয়স ১২ দিন। নাভী ফুলে গেছে। জ¦র আছে, নাভীতে পুঁজ হয়েছে। এ অবস্থায় কী করণীয় ?
উত্তর:  নাভীর ক্ষতস্থান টিংচার আয়োডিন দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। নাভী পেকে গেলে একটু কেটে সম্পূর্ণ পুঁজ বের করে ফেলতে হবে। পরে জীবাণুনাশক পানি দ্বারা পরিষ্কার করে কাটা জায়গার মধ্যে টিংচার আয়োডিনযুক্ত গজ ঢুকাতে হবে। একদিন পরপর এইভাবে পরিষ্কার করে গজ ঢুকাতে হবে। এছাড়া   পেনিসিলিন অথবা স্ট্রেপটোমাইসিন ইনজেকশন দিতে হবে।  
মো: আবুল হোসেন, গ্রাম: ধল্লাপাড়া, উপজেলা:  ঘাটাইল, জেলা: টাঙ্গাইল
প্রশ্ন: আমার মুরগিগুলোর ডায়রিয়া হচ্ছে। পায়ু স্থানের আশেপাশে ময়লা লেগে আছে। কী করণীয় ?
উত্তর:  আপনার মুরগিগুলোর গামবোরো রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এই রোগ যাতে না হয় এজন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১০ থেকে ২১ দিন বয়সে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করতে হয়। আর রোগে আক্রান্ত হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যাকটেরিযার সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য এনফ্লক্স ভেট সলিউশন অথবা কট্রাভেট পাউডার এবং সাথে ইলেকট্রোমিন পাউডার খাওয়াতে হবে।   
(মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক প্রশ্ন কৃষি কল সেন্টার হতে প্রাপ্ত)য়

উপপ্রধান তথ্য অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫,  ফোন নং: ০২-৫৫০২৮৪০০, ই মেইল:taufiquedae25@gmail.com

 

প্রশ্নোত্তর ১৪২৮

প্রশ্নোত্তর
কৃষিবিদ মো. তৌফিক আরেফীন

কৃষিবিষয়ক
নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য আপনার ফসলের ক্ষতিকারক পোকা ও রোগ দমনে সমন্বিত বালাইব্যবস্থাপনা অনুসরণ করুন।
মো. ফজলুর বেপারি, গ্রাম: সরফরাজপুর, উপজেলা: চৌগাছা, জেলা: যশোর
প্রশ্ন: কচু গাছের পাতা বাদামি হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে কী করব?
উত্তর: জমিতে এ ধরনের রোগ দেখা দিলে           ফেনামিডন ও মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন-সিকিউর ৬০০ ডব্লিউজি অথবা মেটালেক্সিল ও মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন-রিডোমিল গোল্ড প্রতিলিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে গাছের পাতার উপরে ও নিচে ভিজিয়ে ৭ থেকে ১০ দিন পর পর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করতে হবে। আশা করি উপকার পাবেন।
মোঃ রবিউল ইসলাম, গ্রাম: পাটগা মুন্সিপাড়া, উপজেলা:          রানীশংকৈল, জেলা: ঠাকুরগাঁও
প্রশ্ন: ঢেঁড়সের পাতায় বাদামি রঙের দাগ পড়ে পাতা মুচড়ে ঝলছে যাচ্ছে। কী করব?
উত্তর: ঢেঁড়সের পাতায় এ ধরনের দাগ দেখা দেয়ার সাথে সাথে ইপ্রোডিয়ন গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন-রোভরাল ৫০ ডব্লিউপি প্রতিলিটার পানিতে ২ গ্রাম অথবা ডাইফেনো কোনাজল ও অ্যাজোক্সিস্ট্রবিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন-এমিস্টার টপ ৩২৫ এসসি প্রতিলিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে ৭ থেকে ১০ দিন পর পর ২ থেকে ৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে। এসব ব্যবস্থা নিলে আপনি উপকার পাবেন।
মো. ফখরুল আলম,  গ্রাম: রানীগঞ্জ, উপজেলা: দিনাজপুর সদর, জেলা: দিনাজপুর
প্রশ্ন:  শসা গাছের পাতা কুঁকড়িয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কী করণীয়?
উত্তর: শসা গাছে এ ধরনের রোগ হলে প্রাথমিকভাবে রোগাক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হবে। আর অন্য গাছে যাতে করে এ রোগ ছড়াতে না পারে সেজন্য বাহক পোকা যেমন- সাদা মাছি পোকা, জাব পোকা, লিফ মাইনর প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এজন্য এসিফেট ১ গ্রাম প্রতিলিটার পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে সঠিক নিয়মে স্প্রে করতে হবে। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে একই জমিতে বার বার শসা চাষ করা যাবে না। আধুনিক জাতের শসা চাষ করতে হবে এবং শস্যপর্যায় অবলম্বন করতে হবে। এসব ব্যবস্থা নিলে আপনি অবশ্যই উপকার পাবেন।
মো. ইমাম হোসেন, গ্রাম: সাকোয়া, উপজেলা: বোদা, জেলা: পঞ্চগড়
প্রশ্ন:  জলপাই গাছের পাতায়, ফলে ও কাণ্ডে কালো ময়লা জমে। কেন এমন হয় এবং প্রতিকার কী?
উত্তর: জলপাইয়ে এ ধরনের সমস্যাকে শুটিমোল্ড বলে। মিলিবাগ বা সাদামাছি আক্রমণ করলে এ ধরনের সমস্যা হয়। এ সমস্যারোধে আক্রান্ত ডাল পালা ছাঁটাই করে ফেলতে হয়। এ ছাড়া মিলিবাগ বা সাদামাছি পোকা দমনের জন্য এডমায়ার ১ মিলি প্রতিলিটার পানিতে মিশিয়ে সঠিক নিয়মে স্প্রে করলে উপকার পাবেন।
মো: ওয়াহিদ আলম,  গ্রাম: ফিংড়ি, উপজেলা: সাতক্ষীরা সদর, জেলা: সাতক্ষীরা
প্রশ্ন: অর্কিডের পাতা আগা থেকে মরে যাচ্ছে। পাতা শুকিয়ে যায় এবং ফুলেও দাগ দেখা যায়। এ সমস্যায় করণীয় কী?  
উত্তর:  অর্কিডের এ ধরনের সমস্যা অ্যানথ্রাকনোজ রোগের কারণে হয়ে থাকে। এ রোগের প্রতিকার হলো আক্রান্ত পাতা অপসারণ করা এবং মেনকোজেব গ্রুপের যে কোনো ছত্রাকনাশক ২ গ্রাম প্রতিলিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা। পাশাপাশি পানি সেচ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
মোঃ করিম মৃধা, গ্রাম: সনগাঁও, উপজেলা: বালিয়াডাঙ্গি, জেলা: ঠাকুরগাঁও
প্রশ্ন: নারিকেলের ছোট ফলগুলো ঝরে পড়ছে। ঝরা ফলগুলোর মুখ কালো। কী করব?
উত্তর: নারিকেল গাছের ফল ঝরে পড়ে যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমওপি বা পটাশ সারের অভাবে। সে কারণে নারিকেল গাছের বয়স জেনে সুষম মাত্রার সার প্রয়োগ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ১-৪ বছর বয়সী গাছের জন্য গোবর ১০ কেজি, ইউরিয়া ২০০ গ্রাম, টিএসপি ১০০ গ্রাম, এমওপি ৪০০ গ্রাম, জিপসাম ১০০ গ্রাম, জিংক সালফেট ৪০ গ্রাম, বরিক এসিড ১০ গ্রাম গাছের গোড়া থেকে চারদিকে ৩ ফুট বাদ দিয়ে মাটি কুপিয়ে ৮-১২ ইঞ্চি মাটির গভীরে সারগুলো প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগ করতে হয় দুই কিস্তিতে। প্রথম কিস্তিতে অর্ধেক সার মধ্য  বৈশাখ থেকে মধ্য  জ্যৈষ্ঠ (মে) এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকি অর্ধেক সার মধ্য ভাদ্র থেকে মধ্য আশ্বিন (সেপ্টেম্বর) মাসে। নারিকেল গাছের বয়স ৫-৭ বছর ও ৮-১০ বছর বয়স হলে ১-৪ বছর বয়সী নারিকেল গাছের সারের মাত্রাকে ২ ও ৩ গুণ করে নিয়মমাফিক প্রয়োগ করলেই কাক্সিক্ষত ফলন পাবেন। নারিকেল গাছের ঝরা ফলগুলো কালো হয় মাকড় বা মাইটের কারণে। সেজন্য ভালো হয় এবামেকটিন গ্রুপের যেকোনো ভালো মানের মাকড়নাশক আক্রান্ত নারিকেল গাছে সঠিক নিয়মে প্রয়োগ করা।
মৎস্য বিষয়ক
মোঃ সাইদুল ইসলাম, গ্রাম: তাম্বুলখানা, উপজেলা: ফরিদপুর সদর, জেলা: ফরিদপুর
প্রশ্ন: মাছের কসটিয়া নেকট্রিক্স রোগ দেখা যাচ্ছে কি করব?
উত্তর: এ রোগে মাছের শরীরে নীলাভ বা ধূসর রঙের আবরণ পড়ে এবং মাছের চর্মে প্রদাহ সৃষ্টি হয় ও বহুল পরিমাণে পিচ্ছিল ক্লেদ নির্গত হয়। এ সমস্যা রোধে ২০০ ভাগ পানিতে ১ ভাগ ফরমালিন মিশিয়ে মাছকে ১০ মিনিট গোসল করালে অরোগ্য হয়।
মোঃ খাইরুল আলম, গ্রাম: ধল্লাপাড়া, উপজেলা: ঘাটাইল, জেলা: টাঙ্গাইল
প্রশ্ন: মাছের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য কী করব?
উত্তর: আক্রান্ত মাছ বড় হলে কেজি প্রতি দেহ ওজনের জন্য ১৫ মিলিগ্রাম হারে জেনটামাইসিন মাছের দেহে ইনজেকশন করে দিতে হবে। মাছ ছোট আকারের হলে প্রতি কেজি খাদ্যের সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম একই এন্টিবায়োটিক মিশিয়ে কমপক্ষে ১০ দিন খাওয়াতে হবে। পোনা মাছ হলে ১ পিপিএম তুঁত দ্রবণে সপ্তাহে  ২ দিন ডুবিয়ে জীবাণুমুক্ত করে পরিষ্কার পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। অথবা আক্রান্ত মাছকে ০.১৫ পিপিএম ম্যালাকাইট গ্রিন অথবা ০.৫ পিপিএম তুঁত অথবা ০.১ পিপিএম মিথিলিনব্লু অথবা ২.৫ শতাংশ সাধারণ লবণ দ্রবণে ডুবিয়ে পরিষ্কার পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। একাজ সপ্তাহে ১ বার করে মোট ৩ বার করতে হবে।  
প্রাণিসম্পদ বিষয়ক
মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, গ্রাম: সাকোয়া, উপজেলা:  বোদা, জেলা: পঞ্চগড়
প্রশ্ন: গরুকে           ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র খাওয়াতে চাই। খাবারটির তৈরির পদ্ধতি কী?
উত্তর: ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র তৈরি করতে খড় ৪২%, মোলাসেস ১৫% এবং ইউরিয়া ৩% দরকার হয়। উদাহরণ হিসেবে খড় ১০ কেজি, পানি ৫ লিটার, মোলাসেস ২.৫ কেজি এবং ইউরিয়া ৩০০ গ্রাম নিতে হবে। প্রথমে প্রত্যেকটি উপকরণ আলাদাভাবে মেপে নিতে হবে। তারপর পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির সাথে ইউরিয়া মেশাতে হবে এবং এরপর মোলাসেস মেশাতে হবে। সবশেষে পলিব্যাগে খড় রেখে এর সাথে ইউরিয়া ও মোলাসেস মিশ্রণ ভালোভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।  এভাবেই ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র তৈরি করা হয়।
সেলিনা বেগম, গ্রাম: বন্দুলি তলা, উপজেলা:  চৌগাছা, জেলা: যশোর।
প্রশ্ন: মুরগির বাচ্চার চোখ দিয়ে পানি পড়ে। কী করব ?
উত্তর: মুরগির বাচ্চার চোখ দিয়ে পানি পড়া অপথ্যালমিয়ার লক্ষণ। এক্ষেত্রে আই ড্রপ ব্যবহার করতে হবে যেমন সেভোডেক্স ভেট আই ড্রপ। এই আই ড্রপটি দিনে ২ বার করে ৩ থেকে ৫ দিন ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। য়
(মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক প্রশ্ন কৃষি কল সেন্টার হতে প্রাপ্ত)

উপপ্রধান তথ্য অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫,  ফোন : ০২-৫৫০২৮৪০০, ই মেইল :taufiquedae25@gmail.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon